আশুলিয়ার একটি ফ্ল্যাট থেকে মা-বাবা ও শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার

Photo of author

By Nahid

শেয়ার করুন

লাশ উদ্ধার
লাশ উদ্ধার

সাভারের আশুলিয়ায় নিজ ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতি ও তাঁদের শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার উত্তর ভাদাইল এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ভবনের মালিক এম এ হাসান বাচ্চু (৫৫), তাঁর স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৫) ও তাঁদের মেয়ে মোছা. জান্নাতি (৫)।

নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের বরাতে আশুলিয়া থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল দুপুরে আশুলিয়ার উত্তর ভাদাইল এলাকায় এম এ হাসান বাচ্চুর বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার নিজস্ব ফ্ল্যাটে ছিলেন এম এ হাসান বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও মেয়ে জান্নাতি। পাশের কক্ষে বাচ্চুর প্রথম স্ত্রীর ছেলে হিমেল ঘুমাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি জান্নাতির চিৎকার শুনে ওই কক্ষের সামনে গিয়ে ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে এবং কক্ষটি আটকানো অবস্থায় দেখতে পান। তিনি পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনকে ডেকে দরজা ভেঙে ফেলেন। পরে আগুন নিভিয়ে ওই কক্ষ থেকে তিনজনকে বাইরে বের করেন। এর মধ্যে বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি বুঝতে পারেন তাঁরা। স্বপ্না ও জান্নাতিকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ক্লিনিক থেকে ওই দুটি মরদেহ বাসায় আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে থানায় আনে। আজ সকালে লাশ তিনটির ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, বাচ্চুর বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত পোড়া ছিল। থুতনির নিচে কাটা দাগ ও মাথায় কাটা জখমের চিহ্ন রয়েছে। শিশু জান্নাতির শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে স্বপ্না বেগমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ওই কক্ষের তোশকের কিছু অংশ ও জামাকাপড় রাখার একটি আলনা আগুনে পুড়ে গেছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার ঘরে আগুনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সুনির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।


শেয়ার করুন

Leave a Comment